শ্রমজীবী ও শিল্প রক্ষা আন্দোলন
( ছবি : সংগ্রহীত )
মতবিনিময় সভায় মনজুরুল আহসান খান গ্রেফতার-দমন-পীড়ন বন্ধ করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বাঁচার মত মজুরি নিশ্চিত কর শ্রমজীবী ও শিল্প রক্ষা আন্দোলনে উদ্যোগে আজ ২৯ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেসক্লাবের ৩য় তলায় মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে “গার্মেন্ট শিল্পের মজুরি প্রসঙ্গ : বাঁচার মত মজুরি না দিয়ে দমন-নির্যাতন কার স্বার্থে?” বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় কমরেড মনজুরুল আহসান খান বলেন, এদেশের প্রতিটি ঐতিহাসিক ও সংকটকালীন সময়ে শ্রমিকরা সাহসী অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছে। দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি গার্মেন্ট শ্রমিকরা। সেই গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরির ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্দোলনকে দমন করার জন্য গুলি করে শ্রমিক হত্যা করতেও কুণ্ঠাবোধ করছে না সরকার। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকদের গ্রেফতার করে তাদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে প্রতিদিন অনেক শ্রমিককে গুম করা হয়েছে। কয়েক হাজার শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। আন্দোলন দমনে এবং লুটেরা মালিকদের প্রতিহিসংসা চরিতার্থ করতে শ্রমিকের ওপর জুলুম নির্যাতনের মাত্রা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তিনি গার্মেন্ট শ্রমিকসহ অন্যান্য সেক্টরে শ্রমিক সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ে নামার আহবান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকদের মুক্তি, মিথ্যা মমলা প্রত্যাহার এবং ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পূর্ণবহাল করে বাজার দরের সাথে সংগতিপূর্ণ মজুরি নিশ্চিত কর। মতবিনিময় সভায় অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি যাই করা হয়েছে সেটাও কার্যকর করার ক্ষেত্রে মালিকদের গাফিলতি রয়েছে। শ্রমিকরা অকারণে রাস্তায় নামে না। শ্রমিকরা এখন ১৬ হাজারের জন্য নয়, যা ঘোষণা করা হয়েছে তাও যখন কার্যকর হচ্ছে না, তখন তারা রাস্তায় নেমে আসছে। তাছাড়া শ্রমিকরা কে কোন গ্রেডে আছে, সেই গ্রেডে তার মজুরি কত মালিকরা তা বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি মজুরির সাথে গার্মেন্ট শ্রমিকদের রেশন ও বাবস্থানের দাবিও উত্থাপন করেন। মতবিনিময় সভায় কমরেড মনজুরুল আহসান খানের সভাপতিত্বে শ্রমিকনেতা জলি তালুকদারের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রমজীবী ও শিল্প রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব শ্রমিকনেতা হারুনার রশীদ ভূঁইয়া। বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেম হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এ এম ফয়েজ হোসেন, ওএসকে গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি জিয়াউল কবীর খোকন, সংযুক্ত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বাবলু, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা লিটন নন্দী, কারখানা শ্রমিক রিনা আক্তার, চায়না আক্তার প্রমুখ।
|